তামাক নিয়ন্ত্রণ
ভূমিকা
তামাকে থাকে প্রায় সাত হাজার রাসায়নিক পদার্থ। এর অন্যতম হলো নিকোটিন ও আলকাতরা (টার)। এসব রাসায়নিক পদার্থ রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে। নিকোটিন নামক যে রাসায়নিকটি তামাকে পাওয়া যায়, তা বিপজ্জনক মাত্রায় এডিক্টিভ (নেশাগ্রস্ত করে) এবং বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিক) হিসেবে পরিচিত। তামাকে একবার আসক্ত হলে ব্রেন বারবার এই নিকোটিন চায়। নিকোটিন না হলে ব্রেন কোনো কাজ করতে চায় না।
তামাক ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীর হার্টবিট বেড়ে যায়, বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেশার)। তামাক ব্যবহারে যে ধোঁয়া বের হয়, তাতে থাকে উচ্চ বিষাক্ত পদার্থ কার্বন মনোক্সাইড। এই পদার্থটি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাতে করে হার্ট (হৃৎপিণ্ড) কম মাত্রায় অক্সিজেন পায়। ধূমপানের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হচ্ছে; কিন্তু অনেকে বুঝতেই পারে না। তামাকের কারণে প্রতি ১০ জনের একজনের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর গবেষণা অনুযায়ী, তামাকের ধোঁয়ার মধ্যে সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী। তামাকের মধ্যে নিকোটিন নামে একটি মারাত্মক নেশা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক রয়েছে। নিকোটিনের প্রভাবে একজন ধূমপায়ী বা তামাকসেবনকারী ক্রমশ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে ১২ লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হন। তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির এক গবেষণার তথ্যানুযায়ী, তামাক ব্যবহারের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, যা ওই বছরের মোট মৃত্যুর ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। একই বছরে প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে ভুগেছে এবং প্রায় ৬২ হাজার শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
গবেষণার তথ্যমতে, তামাক ব্যবহারের কারণে আক্রান্ত রোগীদের পেছনে স্বাস্থ্যখাতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮ হাজার ৪শ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৬ শতাংশ খরচ বহন করেছে ব্যবহারকারীর পরিবার, আর ২৪ শতাংশ মেটানো হয়েছে জনস্বাস্থ্যের বাজেট থেকে। তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা ও এর কারণে অকালমৃত্যুর ফলে বার্ষিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় প্রায় ২২ হাজার ২শ কোটি টাকা। ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছিল ৩০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
বর্তমান নীতিমালা সমূহ
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ এর পঞ্চাদশ তম মূল লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরো শক্তিশালীকরণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এর কর্মকৌশল ৩৩ এ বলা হয়েছে, সমন্বিত উপায়ে অসংক্রমাক রোগের চিকিৎসা, প্রতিরোধ, পূর্ণবাসন করা হবে। সচেতনতার পাশাপাশি জীবনধারা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) কৌশলপত্র
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) কৌশলপত্র ২০১৯ সালে অনুমোদন করা হয় এবং ও ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি এর কার্যকর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে ১০ জানুয়ারি ২০২১ হতে এই কৌশলপত্রটি কার্যকর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ কৌশলপত্রে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং প্রবর্তন, সরবরাহ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং, মোড়কে উপাদান ও উৎপাদনের তারিখ মুদ্রণ, ধোঁয়াবিহীন তামাকের উপর উচ্চহারে করারোপ, এবং পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনসহ যত্রতত্র পানের পিক ও থুতু ফেলা নিষিদ্ধের বিষয়সমূহ এই কৌশলপত্রে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটিই এ পর্যন্ত ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে করা সবথেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
বর্তমান আইন সমূহ
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫
বাংলাদেশ ২০০৩ সালে আর্ন্তজাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) স্বাক্ষর এবং ২০০৪ সালে এটি অনুস্বাক্ষরের পর ২০০৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫” শীর্ষক তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি পূর্ণাঙ্গ আইন পাশ করে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এই আইনে ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা প্যাকেট, কার্টুন বা কৌটার উভয় পাশের ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণের তালিকা বিস্তৃত করা হয়েছে এবং এসকল স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী কোন ব্যক্তির নিকট বা তাদের দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনীর পর ২০১৫ সালে এর বিধিমালা পাশ করা হয়। এ বিধিমালায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণের স্পষ্ট ধারণা, ধূমপানমুক্ত সাইনেজ -এর আকার ও ধরণ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীতে যে ছবি ব্যবহার হবে সেগুলো সংযুক্ত করা হয়।
স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও অন্যান্য উৎস থেকে আহরিত অর্থ ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে ২০১৭ সালে এই নীতি প্রনয়ণ করা হয়। তামাকের এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে প্রথমবারের মত সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ’ আরোপ করা হয়। তামাকজাত দ্রব্য হতে সারচার্জ আদায় সংক্রান্ত বিধিমালা ১ জুলাই ২০১৪ খ্রিঃ হতে কার্যকর করা হয়। এ আইন অনুসারে আমদানিকৃত এবং দেশে উৎপাদিত সকল তামাকজাত দ্রব্য হতে ১% হারে (অর্থনৈতিক কোড ২২১২ এর মাধ্যমে) স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ সংগৃহীত হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সারচার্জ সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। তামাকজাত দ্রব্য হতে অর্জিত এই স্বাস্থ্য করের দীর্ঘস্থায়ী ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার জন্য এই নীতি প্রনয়ণ করা হয়।
২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের অর্থ আইন, ২০১৪ অনুসারে আমদানিকৃত এবং দেশে উৎপাদিত সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর আরোপিত ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ;জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যে কোন দ্রব্যের উপর ভবিষ্যতে আরোপিত সারচার্জ; তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধ, জনস্বাস্থ্য সহায়ক নীতি বা কার্যক্রমের পরিপন্থী নয় এমন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ; সরকারি অন্য কোন খাত হতে প্রাপ্ত অর্থ এই সারচার্জ ব্যবস্থাপনার অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এবং এই অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণ ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্ধারিত অর্থনৈতিক কোডের মাধ্যমে আবশ্যিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। উক্ত জমাকৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ পরবর্তীতে প্রতিবছর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থাৎ আদায়কৃত অর্থ প্রথমে সরকারের আয় হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা হবে এবং উক্ত আদায়কৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ পরবর্তী সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ খাতে ব্যয়িত হব।
তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের নির্ধারিত কোন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালের সামনে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা হয়। সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্যতার কারণে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীয় সরকার এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ সেবাদান প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এই নির্দেশিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের মতো অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা এই নির্দেশিকাটিতেও আছে। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য আলাদাভাবে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করা এই নির্দেশিকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য দিক। এই নির্দেশিকার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি এটি স্থানীয় সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই নির্দেশিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তামাক কোম্পানির প্রভাব রোধে বাংলাদেশ রেলওয়-র আর্টিকেল ৫.৩ গাইডলাইন (বাংলা) ও (ইংরেজী)
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির প্রভাব নিয়ন্ত্রণে এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে গাইড লাইন প্রণয়ন করেছে। ্
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বিধিমালা, ২০২২
রেলওয়ে আইন, ১৮৯০
আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা
গত মে ২০০৩-এ জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ১৯২ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা WHO Framework Convention on Tobacco Control (WHO FCTC) চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এই চুক্তিতে বিভিন্ন ধারা চুড়ান্ত করতে সর্বোপরি একটি কার্যকর চুক্তি প্রণয়নে পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে আফ্রিকা ও বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে স্বল্প উন্নত ও দরিদ্র দেশগুলো এই চুক্তিকে কার্যকর করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। উন্নত দেশগুলো তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ বজায় রাখার লক্ষ্যে বিরোধিতা স্বত্বেও স্বল্প উন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোর সক্রিয় প্রচেষ্টা এই চুক্তিটি সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আদালতের মামলা এবং রায়
সুপ্রিম কোর্ট সিভিল আপীল নং ২০৪-২০৫/২০০১ তারিখ ০১/০৩/১৬ এর রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখার জন্য পাবলিক প্লেস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছে। পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনের অভ্যন্তরে ধূমপানের স্থান রাখলে “ধূমপানমুক্ত স্থান” -না রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এছাড়াও একই রায়ে বাংলাদেশে যৌক্তিক সময়ে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে নির্দেশনা প্রদান করেছে। একই রায়ে দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের নতুন কোন কোম্পানি অনুমোদন না প্রদান এবং বিদ্যমান তামাক কোম্পানিগুলো অন্য দ্রব্য উৎপাদনের সহযোগিতার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এমতবস্থায় এ ধরনের স্বাস্থ্য হানিককর দ্রব্য নিষিদ্ধদের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।