স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা
১ অক্টেবার ২০২৪, জুম প্লাটফরম,
সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স-সিএলপিএ, স্বাস্থ্য আন্দোলন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
প্রেক্ষাপট: স্বাধনীতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। স্বাস্থ্যসেবার নানা প্রতিষ্ঠান ও পরিধি বৃদ্ধি পেলেও আইন, নীতিমালার সংস্কার ও উন্নয়ন সে অনুসারে হয়নি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মূলত The Medical Practice and Private Clinics and Laboratories (Regulation) Ordinance, 1982 আইনের দ্বারা পরিচালিত হতো। যদিও এ আইনের পরিধি খুবই সীমিত। ১৯৮০ সালে সরকারী পরিচালনায় রাষ্ট্রায়াত হাসপাতাল ছিল ৫১০ টি এবং বেসরকারী ছিল ৩৯ টি, ১৯৯৭ সালে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছিল মাত্র ৬১৩টি, আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল ১ হাজার ৪২টি। ।
বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪৩। এর মধ্যে ব্লাড ব্যাংক ১৯৪টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৯ হাজার ৯৫৬টি এবং চার হাজার ৯৯৩টি হাসপাতাল রয়েছে[3]। বাংলাদেশে প্রায় বাংলাদেশে ৬৫৪টি পাবলিক (সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত) হাসপাতাল, ৩৭ টি মেডিক্যাল কলেজ এবং ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আইনের সীমাবদ্ধতা, নজরদারির অভাব, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এই এস ও পি/SOP) না থাকাসহ নানা কারণে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। যার কারণে ধনী, গরীব অনেকেই চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে যাচ্ছে, যাতে দেশ হতে চলে যাচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। তবে বাস্তবিকভাবে এ পরিমাণ অনেক বেশি। দেশে ৬৫ শতাংশের বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নেয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে। (বিস্তারিত)