পরিবেশ

ভূমিকা 

বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন পরিবেশদূষণের ভয়াবহ প্রভাবে। এই দূষণের জন্য রাষ্ট্র ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দায়ী। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সতর্ক করে বিশ্ব সংস্থাটি বলেছে, এমন মৃত্যু ঠেকাতে নির্দিষ্ট কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক নিষিদ্ধ করতে দ্রুত ও উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ নিতে হবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে ব্যবহার হওয়া কীটনাশক, প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর বড় কারণ। প্রতিবছর এসব কারণে প্রায় ৯০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়। এ সংখ্যা করোনায় মৃত্যুর চেয়েও বেশি। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারিতে বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি

বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর যতো মানুষের মৃত্যু হয় তার ২৮ শতাংশই মারা যায় পরিবেশ দূষণজনিত অসুখবিসুখের কারণে। কিন্তু সারা বিশ্বে এধরনের মৃত্যুর গড় মাত্র ১৬ শতাংশ।
রবিবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তার একটি বাংলাদেশ।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, ৭ থেকে ৮ প্রবৃদ্ধির একটি উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উঠতে হলে বাংলাদেশকে এখনই, বিশেষ করে শহর এলাকায় দূষণ রোধ করতে ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্বব্যাংক ২০১৫ সালের এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে, শহরাঞ্চলে এই দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তারা বলছে, দূষণের কারণে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

বর্তমান নীতিমালা সমূহ

পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন [১৮ক। রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।] বাংলাদেশ সংবিধান ১৮ ক
পরিবেশ নীতিমালা ২০১৮ পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে পরিবেশ নীতিমালা প্রণয়ন করে।
 

বর্তমান আইন সমূহ

আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, মরুকরণ রোধ কনভেনশন, বিপজ্জনক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বাসেল কনভেনশন, জৈব দূষক সম্পর্কিত স্টকহোম কনভেনশন, ওজোনস্তর ক্ষয় রোধ সম্পর্কিত মন্ট্রিল প্রোটোকলসহ সব প্রধান বহুপাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে।

আদালতের মামলা এবং রায়

গবেষণা ও প্রকাশনা